শীতের আগেই মুরগির খামারে জৈব নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
শীতের আগেই মুরগির খামারে জৈব নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন:
বছরের শুরুতে বার্র্ড ফ্লু ও রানীক্ষেত রোগে
দেশের মুরগির খামার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। আবার যেন ক্ষতি না হয় সেজন্য শীতের আগেই
মুরগির খামারগুলিতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ বার্ড ফ্লু, রানীক্ষেত ও গামবোরো
রোগের ভাইরাস কম তাপমাত্রায় অর্থ্যাৎ শীতের আগে, শীতের সময় শীতের পরপরই সক্রিয় হয়ে মুরগিতে
সংক্রমণ করে।
এজন্য হাঁস-মুরগির খামারগুলোতে জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে কোনোভাবেই জীবাণু খামারে ঢুকতে না পারে এবং মুরগিতে সংক্রমিত না হয়। খামারে ভাইরাস জীবাণু সংক্রমিত হলে মুরগীতে মৃত্যূ নিশ্চিত। তাই প্রতিরোধমূলক অথ্যাৎ জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থাই পোল্ট্রিশিল্পকে রক্ষা করার একমাত্র উপায়।
এজন্য হাঁস-মুরগির খামারগুলোতে জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে কোনোভাবেই জীবাণু খামারে ঢুকতে না পারে এবং মুরগিতে সংক্রমিত না হয়। খামারে ভাইরাস জীবাণু সংক্রমিত হলে মুরগীতে মৃত্যূ নিশ্চিত। তাই প্রতিরোধমূলক অথ্যাৎ জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থাই পোল্ট্রিশিল্পকে রক্ষা করার একমাত্র উপায়।
![]() |
খামারে জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা করার জন্য সরকার, খামারের মালিক, কমকতা, কমচারী, পোল্ট্রি সামগ্রী
আমদানি, রপ্তানিকারক, ক্রেতা-বিক্রেতাসহ
পোল্ট্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন হতে হবে। বার্ড ফ্লু রোগ নিয়ে
চিন্তার কারণ এর ভাইরাস (এভিয়ান ইনফুয়েঞ্জ) মানুষকেও আক্রান্ত করে মৃত্যু নিশ্চিত
করে। এজন্য দেশের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
হাঁস-মুরগির খামারে জৈব নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে-
# খামারের প্রধান গেট তালা দিয়ে রাখতে হবে। “জৈব নিরাপত্তা চালু আছে, প্রবেশ নিষেধ” সাইনবোর্র্ড লাগাতে হবে।
# খামারের চারপাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
# খামারে শেডের পাশে খাদ্যদ্রব্য ফেলা যাবে না, এতে বন্য পাখি আসবে।
# দর্শনথী/ বহিরাগতদের প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না।
# খামারের ভেতরে নিয়োজিত কর্মীদের খামার কর্তৃক প্রদত্ত জীবাণুমুক্ত পোশাক, জুতা, টুপি, ইত্যাদি পরিধান করতে হবে।
# খামারের মালিক, ম্যানেজার ও অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পরিধেয় সবকিছু জীবাণুমুক্ত হতে হবে।
# মুরগীর ঘরের দরজা বন্ধ রাখতে হবে, যাতে বিড়াল, কুকুর, ইঁদুর, সাপ বেজি ইত্যাদি প্রবেশ করতে না পারে।
# এক খামারের লোক অন্য খামারের গোসল করে জীবাণুমুক্ত হয়ে প্রবেশ করতে হবে।
# মুরগির খামারের কর্মীদের বন্য পাখির দোকানে যাওয়া যাবে না।
# খামার পরিত্যাগের সময় খামারের বস্ত্রাদি পরিবতন করে হাত-পা ভালোভাবে ধুতে হবে।
# প্রতিটি শেডের সামনে পা ডোবানোর সলিউশন রাখতে হবে।
# প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া বিদেশ থেকে মুরগির বাচ্চা, ডিম, খাদ্য, সরঞ্জামাদি আমদানি নিষেধ।
# দেশের ভেতর থেকে বাচ্চা সংগ্রহের আগে নিশ্চিত হতে হবে যে, ঐ খামারে গত একবছরে কোন রোগ দেখা দেয়নি।
# অতিথি পাখি খামারের আশেপাশে বা ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না।
# খামারের কর্মীদের ও অতিথি পাখির কাছে যাওয়া যাবে না।
# কারণ শীতকালে বিভিন্ন দেশ থেকে এদেশে অতিথি পাখি আসে। পাখিগুলো বিভিন্ন রোগের জীবাণু বহন করতে পারে ।
# কোনো মুরগি অসুস্থ হলে বা মারা গেলে সঙ্গে সঙ্গে জেলা বা উপজেলা প্রাণী চিকিৎসা কেন্দ্রে জানাতে হবে।
# মৃত মুরগি মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।
# খামারে প্রবেশ ও বাইরে যাওয়ার জন্য একটি পথ চালু থাকবে।
# দূষণ প্রতিরোধে ফগিং চালু রাখতে হবে।
# মুরগি ও ডিম বিক্রি করে খাঁচা, সরঞ্জামাদি ও যানবাহন পরিস্কার করে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
# অবিক্রিত মুরগি ও ডিম খামারের ভেতর নেয়া যাবে না।
# মুরগিকে সময়মতো সব রোগের টিকা দিতে হবে।
# মুরগির, হাঁস, কবুতর ও অন্যান্য পাখি একত্রে পালন করা যাবে না।
# খামারে অল-ইন, অল-আউট পদ্ধতিতে মুরগি পালন করা।
# অতিথি পাখি শিকার বন্ধ করা।
# বাড়ীতে পালার জন্য বাজার থেকে কেনা মুরগি অন্তত ১৫ দিন আলাদা রেখে তারপর বার্ডড়তে মুরগির সঙ্গে রাখা।
হাঁস-মুরগির খামারে জৈব নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে-
# খামারের প্রধান গেট তালা দিয়ে রাখতে হবে। “জৈব নিরাপত্তা চালু আছে, প্রবেশ নিষেধ” সাইনবোর্র্ড লাগাতে হবে।
# খামারের চারপাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
# খামারে শেডের পাশে খাদ্যদ্রব্য ফেলা যাবে না, এতে বন্য পাখি আসবে।
# দর্শনথী/ বহিরাগতদের প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না।
# খামারের ভেতরে নিয়োজিত কর্মীদের খামার কর্তৃক প্রদত্ত জীবাণুমুক্ত পোশাক, জুতা, টুপি, ইত্যাদি পরিধান করতে হবে।
# খামারের মালিক, ম্যানেজার ও অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পরিধেয় সবকিছু জীবাণুমুক্ত হতে হবে।
# মুরগীর ঘরের দরজা বন্ধ রাখতে হবে, যাতে বিড়াল, কুকুর, ইঁদুর, সাপ বেজি ইত্যাদি প্রবেশ করতে না পারে।
# এক খামারের লোক অন্য খামারের গোসল করে জীবাণুমুক্ত হয়ে প্রবেশ করতে হবে।
# মুরগির খামারের কর্মীদের বন্য পাখির দোকানে যাওয়া যাবে না।
# খামার পরিত্যাগের সময় খামারের বস্ত্রাদি পরিবতন করে হাত-পা ভালোভাবে ধুতে হবে।
# প্রতিটি শেডের সামনে পা ডোবানোর সলিউশন রাখতে হবে।
# প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া বিদেশ থেকে মুরগির বাচ্চা, ডিম, খাদ্য, সরঞ্জামাদি আমদানি নিষেধ।
# দেশের ভেতর থেকে বাচ্চা সংগ্রহের আগে নিশ্চিত হতে হবে যে, ঐ খামারে গত একবছরে কোন রোগ দেখা দেয়নি।
# অতিথি পাখি খামারের আশেপাশে বা ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না।
# খামারের কর্মীদের ও অতিথি পাখির কাছে যাওয়া যাবে না।
# কারণ শীতকালে বিভিন্ন দেশ থেকে এদেশে অতিথি পাখি আসে। পাখিগুলো বিভিন্ন রোগের জীবাণু বহন করতে পারে ।
# কোনো মুরগি অসুস্থ হলে বা মারা গেলে সঙ্গে সঙ্গে জেলা বা উপজেলা প্রাণী চিকিৎসা কেন্দ্রে জানাতে হবে।
# মৃত মুরগি মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।
# খামারে প্রবেশ ও বাইরে যাওয়ার জন্য একটি পথ চালু থাকবে।
# দূষণ প্রতিরোধে ফগিং চালু রাখতে হবে।
# মুরগি ও ডিম বিক্রি করে খাঁচা, সরঞ্জামাদি ও যানবাহন পরিস্কার করে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
# অবিক্রিত মুরগি ও ডিম খামারের ভেতর নেয়া যাবে না।
# মুরগিকে সময়মতো সব রোগের টিকা দিতে হবে।
# মুরগির, হাঁস, কবুতর ও অন্যান্য পাখি একত্রে পালন করা যাবে না।
# খামারে অল-ইন, অল-আউট পদ্ধতিতে মুরগি পালন করা।
# অতিথি পাখি শিকার বন্ধ করা।
# বাড়ীতে পালার জন্য বাজার থেকে কেনা মুরগি অন্তত ১৫ দিন আলাদা রেখে তারপর বার্ডড়তে মুরগির সঙ্গে রাখা।
# খামারের ভেতর প্রবেশের সময় জীবাণুমুক্ত গ্লাভস, গামবুট, মাস্ক, টুপি, এপ্রোন ব্যবহার করা যাবে না।
# এক শেডের যন্ত্রপাতি বা ব্যবহায জিনিসপত্র অন্য শেডের ব্যবহার করা যাবে না।
# আক্রান্ত মুরগির বিষ্ঠা, ময়লা, বর্জ্য মাটির গভীরে পুঁতে ফেলতে হবে।
# জীবাণুনাশক হিসেবে সাবান, ডিটারজেন্টম, ভারকন, ফামফুইড, হাইপেরক্্র লংলাইফ ২৫০ ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।
# মুরগির মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণের দেখা দিলে প্রাণী হাসপাতাল জানাতে হবে।
অস্বাভাবিক আচরণের মধ্যে রয়েছে মুরগির পর পর ২ দিন ২০% হারে পানি ও খাদ্য কম খেলে এবং ডিম উৎপাদন পর পর ২ দিন ২০% হারে কমালে প্রাণী হাসপাতাল নিতে হবে। জৈব নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন রোগমুক্ত খামার গড়ুন।
সতর্ক থাকুন নিরাপদ থাকুন এবং অন্যকে নিরাপদ রাখুন।সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ুন।
No comments
Post a Comment